চামড়া ও চামড়াজাত পন্য, পাদুকা, হালকা প্রকৌশল ও চামড়া শিল্প খাতের ২৫০ প্রতিষ্ঠানের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে সরকার। এসব খাতের পন্য উৎপাদনে আধুনিক সুযোগসুবিধাসহ শিল্প এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৪০ কোটি টাকার (৪ কোটি মার্কিন ডলার) তহবিল গঠন করা হয়েছে। এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ কোটি মার্কিন ডলারের ওই তহবিল অবমুক্ত করা হচ্ছে। বানিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তৈরি পোশাক খাতের বাইরে আলোচ্য চারটি খাতের নির্বাচিত শিল্প কারখানা আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশ্বমানের পন্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। তহবিল থেকে অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারে অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান প্রকল্প পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম। ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের কারখানা থাকলেও এর বাইরে অন্যান্য খাতে এর অভাব রয়েছে। ফলে সম্ভাবনা থাকা সত্বেও আলোচ্য চারটি খাতের পণ্য রপ্তানিতে প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আলোচ্য খাতগুলোর পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষম হয়ে উঠতে পারবে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রেইন্টস (পিআইএফআইসি) কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্প এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে। বিশেষত পানি শোধন ব্যবস্থা, পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) স্থাপন, বিশেষায়িত ওয়্যারহাউজ, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামো বাস্তবায়ন হবে পিআইএফআইসি অধীনে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংক।

কর্মশালায় জানানো হয়, এ অনুদানের মাধ্যমে রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা এবং উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাড়াতে অবদান রাখা।

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক-১ মো. আবু ছাঈদ জোয়ারদার, উপপ্রকল্প পরিচালক-৩ শেখ মো. আব্দুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. লুৎফর রহমান, পিআইএফআইসি কর্মসূচির টিম লিডার সবুজ এ ইকবাল প্রমুখ।

 

রপ্তানি সম্ভাবনাময় চার খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৪০ কোটি টাকার তহবিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *