প্রতি বছর ১ মার্চ ‘বীমা দিবস’ উদযাপিত হবে। এজন্য ১ মার্চকে বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ অনুমোদনের কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বীমা দেশের একটি সম্ভাবনাময় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত। বীমার ব্যাপ্তি বৃদ্ধিতে ও জনমনে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরির উদ্দেশ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ, যেমন-বীমা মেলা, দেশব্যাপী বীমা সম্পর্কিত সভা, সেমিনার, শোভাযাত্রা, বীমা দাবি পরিশোধের জন্য অনুষ্ঠান ইত্যাদি নিয়মিত আয়োজন করে থাকে। এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান বিশেষত তৃণমূল পর্যায়ে বীমার বিস্তৃতি, জনসম্পৃক্ততা তথা জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জাতীয় বীমা নীতিতে বীমা দিবস চালুর কথা বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালনের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে এজন্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পরে দেশিয় বীমা শিল্পের সূত্রপাত হয় এবং ‘বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স (ন্যাশনালাইজেশন) অর্ডার, ১৯৭২’ এবং ‘দ্য ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অ্যাক্ট, ১৯৭৩’ এর মতো বীমা সংশ্লিষ্ট মৌলিক আইন প্রণীত হয়।

‘বঙ্গবন্ধু ১ মার্চ ১৯৬০ এ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। এটা প্রস্তাব ছিল ২-৩ মার্চ করার। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলল, না যেহেতু তিনি (বঙ্গবন্ধু) ১ তারিখে ছিলেন, এটার সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক দিনের সংযোগ আছে, ১ মার্চ অন্য কোনো দিবস থাকলে সেটাকে একটু শিফট করে দিতে।’

তবে দিবসটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব থাকলেও সেটা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়নি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কারণ ‘ক’ শ্রেণির দিবস হলো আমাদের জাতীয় দিবসগুলো। প্রোগ্রাম অরিয়েন্টেড যেগুলো প্রমোশন ক্যাম্পেইন সেগুলো ‘খ’ শ্রেণিতে থাকে। সেজন্য বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *