০২ জুলাই ২০২৫
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ২১ জন সাংবাদিক। এসএমই ফাউন্ডেশন ও অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে তাঁদের এ পুরস্কার দিয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরও অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক প্রতিবেদন করলে একটু সুবিধা হয়; নেতিবাচক প্রতিবেদন করলে একটু ঝামেলা হয়। যেমন এনবিআর–বিষয়ক প্রতিবেদনে (নেতিবাচক) আমাদের অনেক ঝামেলা হয়েছে।’
এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইআরএফের যৌথ উদ্যোগে এই প্রথম ‘এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড–২০২৫’ আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এ বছর মোট ৮২টি প্রতিবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ১০টি শ্রেণিতে মোট ২১টি প্রতিবেদন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন—এসএমই খাতে বিনিয়োগ, অর্থায়নের সংকট ও সমাধানের উপায় শ্রেণিতে দৈনিক আমাদের সময়–এর জিয়াদুল ইসলাম ও যমুনা টেলিভিশনের রিমন রহমান। এসএমই পণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা, সমস্যা ও উত্তরণে করণীয় শ্রেণিতে ডেইলি সান–এর রফিকুল ইসলাম ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রাকিব হোসেন। এসএমই খাতের উন্নয়নে অপ্রতুল নীতি সহায়তা: বাজেটে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ শ্রেণিতে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস–এর ফারহান ফেরদৌস ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের দিনার সুলতানা। এসএমই পণ্য বাজারজাতকরণের চ্যালেঞ্জ ও তা দূর করার উপায় শ্রেণিতে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস–এর রেজাউল করিম ও বাণিজ্য প্রতিদিনের গিয়াস উদ্দিন।
আরও পুরস্কার পেয়েছেন এসএমই খাতের উন্নয়নে গবেষণা ও সঠিক পরিসংখ্যানের গুরুত্ব শ্রেণিতে বাংলাভিশনের মো. গোলাম মইনুল হাসান, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস–এর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ–এর রহিম শেখ। এসএমই খাতের ক্লাস্টারভিত্তিক উন্নয়নের তাৎপর্য: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শ্রেণিতে জাগোনিউজের নাজমুল হোসেন ও দৈনিক সমকাল–এর জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন: উন্নত ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তুলনা ও করণীয় শ্রেণিতে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস–এর মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের জেসমিন মলি। বেকারত্ব দূরীকরণ, নতুন কর্মসংস্থানে এসএমই খাতের গুরুত্ব শ্রেণিতে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস–এর এফ এইচ এম হুমায়ুন কবির ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ–এর হাসান আরিফ। নারী উন্নয়নে এসএমই খাতের গুরুত্ব শ্রেণিতে ঢাকা পোস্ট–এর শফিকুল ইসলাম ও আজকের দৈনিক–এর মরিয়ম সেঁজুতি। এসএমই খাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার: ৪র্থ শিল্পবিপ্লব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি শ্রেণিতে ডেইলি সান–এর মৌসুমী ইসলাম এবং আজকের পত্রিকার শাহ আলম খান।
এবারের প্রতিযোগিতায় জুরি সদস্য হিসেবে ছিলেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস–এর সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, যমুনা টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক (সিএনই) মো. তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ–মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
এসএমই অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২১ সাংবাদিক