জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রতিবছর ৫০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আরো বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ চায়। কর সংক্রান্ত অনেক বিষয় আছে, যেগুলো দ্রুত সংস্কার করলে জাপানসহ অন্যানী বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগের অনেক আকর্ষণীয় স্থান হবে। বাংলাদেশে তৈরী হওয়া সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দ্রুত সমাধান করতে হবে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেনট্রিটিভ ইউজি আনন্দ পল্টন টাওয়ারে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয় পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ইআরএফ সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে জাপানের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখনো সুযোগ রয়েছে, বাংলাদেশে হতে পারে জাপানের অন্যতম বিনিয়োগের স্থান। সে জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চীফ এম শফিকুল আলম, রায়টার্সের সাবেক ব্যুরো চীফ সিরাজুল ইসলাম কাদিরসহ ইআরএফ নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউজি আনন্দ বলেন, চীন থেকে যে পরিমাণ কোম্পানি কারখানা স্থানান্তর করবে বলে অনেকে মনে করছেন, বাস্তবে ততটা হবে না। কোম্পানিগুলো কারখানা চীনে রেখে অন্যান্য দেশে নতুন কারখানা করতে পারে। আর কারখানা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আসিয়ানভ‚ক্ত দেশগুলো অগ্রাধীকার পাবে।
তিনি সংশ্লিষ্ট দেশ ও বিনিয়োগকারীর সম্পকর্কে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো উন্নয়নের মাধ্যমে অধিকতর জাপানী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে এবং তার সম্ভাবনাও রয়েছে। এজন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা নিরসনের আন্তরিক উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারকে নিতে হবে।
জেট্রোর আবাসিক প্রধান বলেন, জাপানের যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে তার ৭০ ভাগ কোম্পানি ব্যবসা স¤প্রসারণে অগ্রহী। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে ইআরএফ ও জেট্রো যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। দুই দেশের যে বন্ধুত্বপূণ সম্পর্ক সেটা বাড়াতে ইআরএফ জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।