র্যালি, সেমিনার, বীমা দাবি নিষ্পত্তি, নতুন পলিসি ইস্যু ওমনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো খুলনা বীমা মেলা। সার্কিট হাউজ মাঠে চতুর্থ এ বীমা মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে বিকেল ৪টায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান।
দু’দিনব্যাপী এ বীমা মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। এতে সভাপতিত্ব করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব মো. হুমায়ুন কবির, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিআইএফ’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী; আইডিআরএ’র সদস্য গকুল চাঁদ দাস, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও ড. এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। ক্রেস্ট প্রদান ও প্রধান অতিথির বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় বর্ণাঢ্য এ আয়োজন।
এর আগে সকাল ১০টায় মেলার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধন করা হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্য ও সেমিনার উপ-কমিটির আহবায়ক ড. এম মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদুর রহমান খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির ও খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উপসসচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।
দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আপ্যায়ন বিরতির পর বেলা ১১ টায় শুরু হয় “এসডিজি অর্জনে বীমা শিল্পের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার। এতে নন-লাইফ বীমার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বীমা ব্যক্তিত্ব ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন।
আলোচক ছিলেন আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খলিল আহমদ ও খুলনা বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিলি আম্মিয়া। এতে মডারেটর ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিত চৌধুরী।
বেলা ১২টার পর লাইফ বীমার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বীমা ব্যক্তিত্ব দাস দেব প্রসাদ। এতে আলোচক ছিলেন আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. শেখ মহ. রেজাউল ইসলাম ও কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আশরাফ হোসেন। এতে মডারেটর ছিলেন আইডিআরএ’র সদস্য গকুল চাঁদ দাস।